কীভাবে অ্যাপ থেকে আয় করা যায়

কীভাবে অ্যাপ থেকে আয় করা যায়?

কীভাবে অ্যাপ থেকে আয় করা যায়?

মোবাইল অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জন করে কোটিপতি বা বিলিওনিয়ার হওয়ার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। শোনা যায়, দেশে অনেকেই অ্যাপ থেকে প্রচুর আয় করেন। অনেকের কাছে ব্যাপারটা একটু অস্পষ্ট। আপনি ভাবছেন কিভাবে বিনামূল্যের অ্যাপগুলো এত বেশি আয় করে। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানব কিভাবে অ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায়।

সময়ের সাথে সাথে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে। অনেকে প্রায়ই বলে থাকেন যে এখন স্মার্টফোনের সময়। তাহলে এই ডিভাইসটির জনপ্রিয়তার পেছনের কারণ কী? একটু খোঁজ করলেই উত্তর পাওয়া যাবে। এর পেছনে রয়েছে আসলে অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশনের জয় জয়াকার।এখন এই অ্যাপগুলো অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে। এতে স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে, বেড়েছে নতুন অ্যাপের চাহিদাও। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেভেলপারদের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করার প্রবণতা রয়েছে। একটি অ্যাপ তৈরি করে কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় চলুন এখন সেটি জেনে নেওয়া যাক।

মূলত তিন ধরনের অ্যাপ ডেভেলপাররা তৈরি করেন। সুতরাং, আয় বা রেভেনিউয়ের উপর ভিত্তি করে, তিন ধরনের মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে এই অ্যাপগুলো বেশি জনপ্রিয়।

পেইড অ্যাপ

যখন বিকাশকারীরা পেইড অ্যাপ তৈরি করে এবং সেগুলিকে মার্কেটপ্লেসে উন্মুক্ত করে,তখন একজন ইউজার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, একটি অ্যাপের দাম ৯৯ সেন্ট বা পাঁচ ডলার হতে পারে। যদি একটি অ্যাপের দাম $৫ এবং ১০০ বিক্রি হয়, তাহলে ডেভেলপার $৫০০ পায় ব্যাপারটা এমন নয়।সেই আয়ের ৩০ শতাংশ অ্যাপ স্টোরগুলিতে নিয়ে নিবে। অর্থাৎ ডেভেলপার $৫০০ এর মধ্যে $৩৫০ পাবে। তবে স্টোর ভেদে কম-বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ গুগল প্লে স্টোর পেইড অ্যাপ সাপোর্ট করে না।

ইন অ্যাপ পার্চেজ

এই ক্ষেত্রে, মুল অ্যাপটি ফ্রী। কিন্তু অ্যাপের মধ্যে কিছু সুবিধা পেতে ব্যবহারকারীকে ডলার খরচ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, Clash of Clans গেমটি সম্পূর্ণ ফ্রী। তবে গেমটি খেলতে আপনাকে দ্রুত উপরে উঠতে জেমস কিনতে হয়। ডেভেলপার এখান থেকে আয় করে। তবে এই ক্ষেত্রেও, স্টোরগুলিকে পার্সেন্টেজ দিতে হবে কারণ অ্যাপ-মধ্যস্থ কেনাকাটার অ্যাপগুলির চাহিদা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের জন্য গুগল প্লে স্টোর এখনো পেইড অ্যাপের মতো অ্যাপ-মধ্যস্থ কেনাকাটা সাপোর্ট করে না। তাই দেশি ডেভেলপারদের শুধুমাত্র ফ্রি অ্যাপস আপলোড করতে হবে

ফ্রি অ্যাপ

গুগল প্লে স্টোরে বাংলাদেশ থেকে ডেভেলপারদের করা অ্যাকাউন্ট থেকে শুধু ফ্রি অ্যাপ   অ্যাপলোড করা যায়। এক্ষেত্রে ডেভেলপাররা শুধ ফ্রি অ্যাপ আপলোড করেন। এ থেকে আয় করতে তারা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন।বিজ্ঞাপন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাডমব। এ বিজ্ঞাপনুলো সাধারণত কস্ট পার ক্লিক/কস্ট পার মাইল ভিত্তিতে পে করে থাকে ডেভেলপারদের। এভাবেই ফ্রি অ্যাপ থেকে আয় করে থাকেন ডেভেলপাররা।


আরো পড়ুনঃ

অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায়!

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার উপায় কী?

প্রোগ্রামিং করে টাকা আয় করার উপায়!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *