কিভাবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করবেন

কিভাবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করবেন?

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে, লোকেরা ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের বিভিন্ন পণ্য প্রমোট করে থাকে। সেইক্ষেত্রে,  প্রোমোট করার জন্য প্রয়োজন হয় ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের।

আপনি বাংলাদেশে থাকেন এবং বাংলাদেশের মুদ্রা হচ্ছে টাকা। তবে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কিছু কিনতে বা বুস্ট করতে চাইলে আপনাকে ডলারে পেমেন্ট করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে সম্পর্কেই বিস্তারিত জানব।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য কি কি প্রয়োজন?

একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা হলঃ

  • একটি মোবাইল নম্বর।
  • একটি উপায়  অ্যাকাউন্ট।
  • NID কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • একজন নমিনি ও তার এনআইডি কার্ড।

বাংলাদেশে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে, আপনাকে অবশ্যই নীচে তালিকাভুক্ত নিয়ম অনুযায়ী একটি আবেদন জমা দিতে হবে। তো আর দেরি না করে চলুন দেখে নেই ডুয়াল কারেন্সি কার্ড পেতে কী করতে হবে:

ধাপ ০১: প্রথমে আপনার উপায় একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। উপায় একাউন্টে অ্যাপের মধ্য প্রবেশ করলে নিচের দিকে ’প্রিপেইড কার্ড’ নামে একটি অপশন পাবেন। ’প্রিপেইড কার্ড’ এ ক্লিক করলে আপনি  ’রিকোয়েস্ট’ লেখা নামের একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ০২: এবার আপনার সামনে একটি আবেদন ফর্ম চলে আসবে। সেই আবেদন ফর্মটি পুরন করতে হবে।

  • প্রথমে আপনার ফোন নাম্বারটি দেওয়াই থাকবে।
  • তারপর আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী বাবার নাম।
  • এনআইডি কার্ড অনুযায়ী মায়ের নাম।
  • একটি ইমেইল আইডি লিখতে হবে।
  • কার্ডের উপর যে নামটি দেখাতে চান সেটি দিবেন।

তারপর ভালভাবে চেক মার্ক করে ‘এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ০৩: এবার একজন নমিনির তথ্য দিতে হবে। প্রথমে নমিনির এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিতে হবে এবং এনআইডি কার্ড অনুযায়ী নমিনির জন্ম তারিখ দিলেই নমিনির বাকি যাবতীয় তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে।

সব তথ্য ভালোভাবে চেক করে নিবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে নিচে একটি ‘পরবর্তী’ অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে চলে যাবেন।

ধাপ ০৪: এই ধাপে আপনাকে ‘ডেলিভারি ঠিকানা’ দিতে হবে। অর্থাৎ, এই ফর্মটিতে সেই ঠিকানাটি নির্দিষ্ট করে দিবেন যেখানে আপনি আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি নিতে চান৷

আগে থেকেই একটি সাদা কাগজে আপনার লেখে রেখে এই ‘স্বাক্ষারের ছবি তুলুন’ অপশনটিতে ক্লিক করে একটি ছবি তুলে দিবেন।সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে নিচে একটি ‘সাবমিট’ বাটন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।সমস্ত তথ্য সঠিক হলে, “কার্ড অ্যাপ্লিকেশন সফল” বার্তা সহ একটি পপ-আপ উইন্ডো আপনার সামনে ওপেন হবে। এবং যাচাই করার পরেই আপনাকে জানানো হবে।

ধাপ ০৫: বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পরে দেখুন একটি মেসেজ এসেছে। কার্ডের জন্য যে আবেদনটি করা হয়েছিল তা এপপ্রুভড করা হয়েছে। আপনাকে এখন আবার উপায় এপের ভিতর প্রবেশ করে ৩০ দিনের ভিতর ৫৭৫ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।

ধাপ ০৬: পেমেন্ট করার জন্য আবারো আপনার উপায় একাউন্টটির ভিতরে প্রবেশ করে নিচে থেকে ‘প্রিপেইড কার্ড’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর ‘পরিশোধ করুন’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করবেন। এবার আপনার সামনে আপনার নাম ও টাকার পরিমাণ চলে আসবে।

এখন পরিশোধ করুন’ অপশনে ক্লিক করলে আপনার উপায় একাউন্টের পিন চাইবে। পিন দেওয়ার পর পেমেন্ট ’কনফার্ম করার জন্য স্লাইড করুন’ নামে একটি রয়েছে সেটিতে ক্লিক করলেই আপনার পেমেন্ট করা কমপ্লিট হয়ে যাবে।

ধাপ ০৬: পেমেন্ট সফল হওয়ার পর আপনার ফোনে একটি মেসেজ আসবে এবং সেখানে লেখা থাকবে যে, আপনার পেমেন্ট সফল হয়েছে এবং আপনি ১৫ দিনের ভিতর কার্ডটি আপনার হাতে পেয়ে যাবেন।

কার্ডটি পাওয়ার তাদের হেল্পলাইনে কথা বলে কার্ডটি এক্টিভ করে নিতে হবে। তবে এ বিষয়ে চিন্তার কিছু নেই। তারা আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইবে সব কিছু দেওয়ার পর কার্ডটি এক্টিভ হয়ে যাবে।


আরো পড়ুনঃ

কিভাবে নাম্বার ঠিক রেখে সিম অপারেটর পরিবর্তন করবো?

আইফোনের ব্যাটারি কখন পরিবর্তন করা উচিত?

ইয়ারফোনের মধ্যে ক্যামেরা দিচ্ছে অ্যাপল?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *