সত্য কথা হল ওয়েবসাইট আপনার অফিসের মত যা ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। কিভাবে? বলছি।
ওয়েবসাইটে একটা ডোমেইন থাকে আর অফিসের একটি নাম থাকে। অফিসের যেমন জায়গা থাকে ওয়েবসাইটের তেমন স্পেস বা হোস্টিং থাকে। অফিসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ফার্নিচারের মত করেই ওয়েবসাইটের জন্যে নানান ধরণের ডিজাইন, নানান ধরণের কোড এবং বিভিন্ন ধরণের টুলস, প্লাগইনস, এডঅন্স ব্যবহার করা হয়। অফিসে ভিজিট করে যেমন একটি অফিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় তেমনই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে একটি অফিসের দরকারী তথ্য পাওয়া যায় (এবাউট, মিশন, ভিশন, ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্টস, সার্ভিসেস, প্রজেক্টস, অর্ডার (ই-কমার্স), যোগাযোগ (ফোন/ইমেইল/চ্যাট) এবং চিঠি লেখা যায় (ফর্ম/ফিডব্যাক ফর্ম) যায়। ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্যে ইন্টারনেট সংযোগ লাগে এবং সারা দুনিয়ার যেকোন প্রান্ত থেকেই ওয়েবসাইট ভিজিট করা যায়।
অনলাইনে আমরা যাই দেখি সেটাই কোন না কোন ওয়েবসাইট। ইন্টারনেটের সুবিশাল তথ্যভান্ডারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ওয়েবসাইট।
সাধারনত, ওয়েবসাইট হলো কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পৃষ্ঠা, আপলোড কৃত ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয় যেমনঃ Infographic, GIP, Animation ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যন্য স্মার্ট ডিভাইসের এর মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি।
একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে নানান তথ্যের সমাহার যা কিনা অন্য কোথাও কোন একটি কম্পিউটারে রাখা আছে। এই ধরণের কম্পিউটারকে আমরা আদর করে সার্ভার কম্পিউটার বা ওয়েব সার্ভার বলে ডাকি। অর্থাৎ অন্য একটি সার্ভার কম্পিউটারে কিছু কথা এমনভাবে সাজানো আছে যে একটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারে (বা মোবাইলে) বসে সেই তথ্যগুলি দেখতে পারছেন।
আর ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করাতে হলে আপনাকে নিচের ৩ টি কাজের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে।
১. ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন
২. ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবে
৩. ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করতে হবে
তাহলে ওয়েব পেজ (Web Page) কি?
আমরা যেই ওয়েবসাইটেই যাই না কেন সেই ওয়েবসাইটে বেশ কিছু ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা থাকে । ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা মূলত একটি html document যা http protocol এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারে স্থানান্তরিত হয়। আর এই সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইট গুলিকে সমষ্টিগতভাবে “WWW” অর্থাৎ (ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা বিশ্বব্যাপী জাল) নাম বলা হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইট থাকার সুবিধাঃ
১. কম খরচে গ্লোবাল অফিসঃ খুব কম খরচে যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে তাদের ব্যবসার প্রসার করতে পারে ।
২. আপনার ক্রেতা আপনার সম্পর্কে জানতে যায়
৩. যে কেউ যে কোন স্থান থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য যে কোন সময় দেখতে পারে ।
৫. নির্দিষ্ট প্রসেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায় ।
৬. ওয়েবসাইটে লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা সহ এছাড়াও আরও অনেক কাজ করা যায়।
৭. ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ( যেমনঃ বিভিন্ন ছবি, অডিও, ভিডিও, পিডিএফ ফাইল ) ডাউনলোড করা যায় ।
৮. সাধারনত প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা
যায় ।
৯. বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেনের ও পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
১০. একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজেই যেকোন ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে ও আস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
১১. বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থাকার ফলে আমরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও জানতে পারি । যেমনঃ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট, ভুমি বা জমি-জমা সংক্রান্ত তথ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।
১২. আজ ওয়েবসাইটের ব্যবহার আছে বলেই Amazon, Aliexpress, এবং Ebay এর মত বড় বড় ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেগুলো হতে আফিলিয়েশন এর মাধ্যমে নিশ সাইট গড়ে তুলে আজ মানুষ অনেক টাকা ইনকাম করছে।
অন্যান্য পোস্ট যা আপনার দিনবদলের জন্যে কাজে লাগতে পারে