ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
অনেকে মনে করেন ইউটিউব থেকে আয় করার একমাত্র উপায় হল অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ইউটিউবে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ:
- ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম
- প্রোডাক্ট বিক্রি
- ভিডিও এডিটিং সার্ভিস
- প্রোডাক্ট রিভিউ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- অনলাইন কোর্স
- স্পন্সরড কনটেন্ট
- ডোনেশন
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে আয়
ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে এড হয়ে শুধুমাত্র যে এডসেন্স থেকেই যে আয় করা যায় শুধু তাই নয়, তবে ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে এড হওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান করলে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফি, সুপার চ্যাট, চ্যানেল মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম ইত্যাদি পাওয়া যায়।
প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইউটিউব থেকে আয়
বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা এখন ইউটিউবারস এবং পাবলিক ফিগারদের আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠছে। যদি আপনার চ্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলোয়ার থাকে যা আপনার কাছ থেকে কিনতে আগ্রহী, আপনি ইউটিউব চ্যানেলের গ্রাহকদের কাছে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং সার্ভিস দিয়ে আয়
যেহেতু আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করছেন, তাই আপনার ভিডিও সম্পাদনার অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ভিডিও সম্পাদনা অন্যদের তুলনায় ভাল এবং আপনি এতে ভালো, আপনি ভিডিও সম্পাদনা পরিষেবা অফার করতে পারেন।
আপনি অর্থের জন্য অন্যান্য নির্মাতাদের ভিডিও সম্পাদনা পরিষেবা অফার করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে ভিডিও এডিটিং কাজ করে ভালো পরিমানের একটি অর্থ আয় করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট রিভিউ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে আয়
একটি বড় সংখ্যক দর্শক একটি নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে বা একটি পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিতে YouTube-এর উপর নির্ভর করে৷ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রোডাক্ট রিভিউ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।
বর্তমানে ইউটিউবে সব ধরনের প্রোডাক্ট রিভিউয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পণ্য পর্যালোচনাগুলির বিবরণে একটি ক্রয় অনুমোদিত লিঙ্ক প্রদান করে, আপনি একটি কমিশন উপার্জন করতে পারেন এবং দর্শকদের একটি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারেন৷ অন্যান্য পণ্য ছাড়াও, আপনি আপনার ভিডিওর মাধ্যমে আপনার নিজস্ব পণ্য প্রচার করতে পারেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করে ইউটিউব থেকে আয়
একটি YouTube শিক্ষামূলক চ্যানেল চালানোর ফলে আপনি যা শেখান তার সেরাটি ব্যবহার করে অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারবেন। যদি দর্শকরা আপনার ভিডিও সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানতে ইচ্ছুক হন, তাহলে অনলাইন কোর্স বিক্রি করা আপনার জন্য YouTube থেকে আয়ের উৎস হতে পারে।
স্পন্সরড কনটেন্ট এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়
আপনার চ্যানেলে পর্যাপ্ত সাবস্ক্রাইবার থাকলে, স্পনসরশিপের জন্য বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা আপনার সাথে যোগাযোগ করা হতে পারে। যদি আপনার ভিডিওর বিষয় এবং একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা পরিষেবা একই রকম হয়, তাহলে আপনি স্পনসরশিপ নিয়ে আলোচনা করতে সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
স্পন্সর কন্টেন্ট আজকাল ইউটিউবারদের জন্য আয়ের একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। মূলত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ বা সম্পূর্ণ ভিডিও কিনে থাকে। এছাড়াও অনেক ধরনের স্পন্সর কন্টেন্ট ডিল করা যায়।
ডোনেশন এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়
যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ছোট হয় এবং ইউটিউবই আপনার কাজ এবং আয়ের একমাত্র উৎস, তাহলে একজন ফুল-টাইম ইউটিউবার হওয়া আপনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ছোট কন্টেন্ট নির্মাতা যারা অন্যথায় YouTube থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারে না তারা সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে। Patreon এর মতো সাইটগুলি এটিকে আরও সহজ করে তোলে।
আরও পড়ুনঃ
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়?
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করবেন?
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করবো?
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করবেন ?