কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেন 1

কীভাবে ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?

কীভাবে ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন দর্শকবৃন্দ? আজ আমি আপনার সাথে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হল ব্লগিং।আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করলে  আপনি ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট বিল্ডিং কিভাবে অর্থ উপার্জন করতে হয় তা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

ব্লগিং কি?

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় হল ব্লগিং। ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস এই দুইভাবে ব্লগিং করা যায়। আপনার সহজ প্ল্যাটফর্ম ব্লগার।এই ব্লগারের মাধ্যমে আপনি কোন টাকা খরচ না করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

ব্লগার/ওয়ার্ডপ্রেস

ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস হল গুগলের বিনামূল্যের প্ল্যাটফর্ম। আপনি ব্লগারের সাথে একটি ওয়েবসাইট খুললে ১০০% ফ্রী। আপনাকে এখানে কিছু কিনতে হবে না। এবং ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রী কিন্তু এখানে কিছু কিনতে হয়।

হোস্টিং, ডোমেইন, প্রিমিয়াম থিম ইত্যাদির মতো। এই জিনিসগুলি কিনে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর ডলার/টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?

আপনি হইতো ভাবছেন ফ্রীতে আবার ওয়েবসাইট হয়? আমি বলবো অবশ্যই। আপনি যদি ব্লগারে সাইট তৈরি করেন তাহলে কোন প্রকার খরচ ছাড়াই মনের মতো সাইট তৈরি করতে পারবেন।

আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে, কিছু জিনিস আপনার মনে রাখা উচিত যেমন: কোন ভাষায় ব্লগ করবেন ইংরেজি নাকি বাংলা। আপনি যে কোন ভাষায় ব্লগ করতে পারেন আপনার কাছে যা  ভাল মনে হয়।

এছাড়াও, আপনি ইংরেজি বা বাংলায় ব্লগ করুন না কেন এখানে কাজ করার জন্য আরও কিছু বিষয় রয়েছে। বিশ্বের অনেক মানুষ অনেক বিষয়ে কাজ করে যেমন শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষি, অনলাইন আয় ইত্যাদি ব্লগিং।

ব্লগিং শুরু করতে প্রথমত, আপনার একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ট্যাবলেট প্রয়োজন।দ্বিতীয়ত, আপনার ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট। তৃতীয় ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই সংযোগ। আপনার যদি এই জিনিসগুলি থাকে তবে আপনি সহজেই ব্লগিং করতে পারেন।

ব্লগার ফ্রী সাইট তৈরির উপায়

আপনার ব্যক্তিগত বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে, Google সার্চ করুন, blogger.com এ যান, Create এ ক্লিক  করুন এবং তারপরে আপনার ইমেল ঠিকানা লিখুন। এর পরে, যে নাম দিয়ে আপনি ফ্রি সাইট তৈরি করবেন সেটি লিখুন। ব্লগারের ফ্রী নাম হল blogspot.com এই নামের আগে আপনি যে নামটিতে কাজ করবেন তা অন্তর্ভুক্ত করুন।

এর পরে, আপনার প্রদর্শনের নাম লিখুন যা আপনার ওয়েবসাইটের সাথে মেলে এবং ব্যবহারকারীর নামটি আপনার নিজের। অ্যাকাউন্ট তৈরি সম্পূর্ণ হলে, আপনার ইমেল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন।

ব্লগার একাউন্টে লগইন করার পর ব্লগারের নামের নিচে পেজটি খুলবে। ব্লগারের বাম দিকে একটি বার রয়েছে, সেখানে পূরণ করার জন্য কিছু অপশন  রয়েছে যেমনঃ প্রথমে ব্লগারের লগো, তার নিচে ডিসপ্লে নাম, নিউ পোস্ট, পোস্ট, স্টেটাজ, কমেন্ট, আরনিং, পেইজ, লেআউট, থিম, সেটিং। উক্ত বিষয় গুলোর কাজ রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

১। নিউ পোস্টঃএটি আপনাকে আপনার ব্লগার সাইটে নিবন্ধ লিখতে দেয়। Article Writing Rules – প্রথমে New Article এ ক্লিক করুন, তারপর MS Word পেজের মত একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে, শুরুতে, আপনি যে নিবন্ধটি লিখতে যাচ্ছেন তার শিরোনাম লিখুন।

যেমন: “ব্লগিং থেকে আয় করুন”। তারপরে নীচের সাদা রঙের পেজে ক্লিক করুন, শিরোনামের উপর ভিত্তি করে বিশদ লিখুন এবং আইটেমটির নাম দিয়ে একটি থামমেইল তৈরি করুন। কারণ প্রতিটি নিবন্ধে অন্তত একটি ছবি সেট করতে হবে। কন্টেন্ট লেখার পর লেভেল সেট করুন।

তারপর,আর্টিকেল এর উপর নির্ভর করে, premalink লিখুন যেমন premalink Google আপনার কন্টেন্ট চিনতে সাহায্য করে এবং আপনাকে Google-এ র‌্যাঙ্ক করতে সাহায্য করে। প্রমালিংক লেখার নিয়ম যেমন: ব্লগিং-ইনকাম-২০২৩ প্রমালিংকের কাজ করার পরে সেখানে একটি সার্চ অপশন রয়েছে, সুন্দর ভাবে কন্টেন্টটি লিখুন যাতে ভিজিটররা কন্টেন্টটি পড়তে পারে এবং আপনার ওয়েবসাইটে আসতে পারে। অবশেষে, উপরের ডানদিকে পাবলিশ বোতামে ক্লিক করুন এবং আপনার পোস্ট সম্পূর্ণ হবে।

২। পোস্টঃএটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার সাইটে কতগুলি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে এবং আপনি যখন প্রকাশ করবেন তখন আপনি দেখতে পাবেন। এছাড়াও, আপনি আপনার যেকোনো পোস্ট এডিট এবং আপডেট করতে পারেন।

৩। Stats : এটির মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটের ভিজিটর দেখতে পারবেন। যেমন দিনে, সপ্তাহে, মাসে কোন পোস্টে কত ভিজিটর আসে এবং কোথায় থেকে আসে। গুগল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি থেকে ভিজিটর আসে কি না তা বুঝতে পারবেন।

৪। পেজঃ এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের নিতিমালা ও সাইটের তথ্য সেট করতে পারবেন যেমনঃ  About, Dmca, Contact, Privacy ইত্যাদি।

৫। লেআউটঃ এটি আপনাকে আপনার ব্লগার সাইটের থিম যেমন লোগো, মেইন মেনু, সার্চ অপশন ইত্যাদি কাস্টমাইজ করতে দেয়।

৬। থিমঃএটি ওয়েবসাইটের থিম কাস্টমাইজ করা হয়। এখানে আপনি ফ্রী থিম ডাউনলোড এবং কাস্টমাইজ করতে পারেন।

আমি পরিশেষে বলতে পারি যে আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি সহজেই একটি ফ্রী ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এই আর্টিকেলে  সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


আরো পড়ুনঃ

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার  উপায়!

কেন ব্লগিং শুরু করবেন?

ফোরাম থেকে ভিজিটর আনার সেরা ৫টি উপায়! 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *