কীভাবে নেটওয়ার্কিং করবেন

কীভাবে নেটওয়ার্কিং করবেন?

কীভাবে নেটওয়ার্কিং করবেন?

আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা করি। কিছু ক্ষেত্রে, এই পরিচয়টি ভাল সম্পর্ক তৈরি করে। সম্পর্ক তৈরির এই প্রক্রিয়াটিকে নেটওয়ার্কিং বলা হয়। আপনি যত বেশি মানুষের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, প্রয়োজনের সময় আপনার সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। এটি অনেক কাজে দেয়, বিশেষ করে  প্রফেশনাল জীবনে। কিন্তু কিভাবে আপনি আপনার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে পারেন? এটি সম্পর্কে জানতে জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগসহকারে পড়ুন।

১. বিষয় বাছাই করে কথা বলুন।

আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার পছন্দের বিষয়ের গুলোর সাথে আপনার পছন্দের মিল আছে কি না তা যাচাই করুন। যদি মিল থাকে, আপনি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন, যা একটি ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ধরা যাক আপনি দুজনেই ফেদেরারের ভক্ত। ফেদেরার সম্পর্কে তার সাথে কথা বলা শুরু করুন। দেখবেন, কথোপকথন জমে উঠেছে!

২. যার সাথে নেটওয়ার্কিং করতে চান, তার ব্যাপারে জানুন।

মানুষ নিজের সম্পর্কে কথা বলতে ভালোবাসে। তাই আপনি যার সাথে কথা বলছেন তাকে জিজ্ঞাসা করুন তাদের পছন্দ-অপছন্দ বা তাদের জীবন সম্পর্কে। যেকোন বিষয়ে আগ্রহ নিয়ে জানার চেষ্টা করুন।আপনার আগ্রহ তাকে উৎসাহিত করবে, যা পরে কাজে আসতে পারে।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কানেক্টেড থাকুন।

আপনি যদি কারও কাজ পছন্দ করেন তবে লিঙ্কডইন-এ তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। এটি পেশাদার নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম। তাই আপনার LinkedIn প্রোফাইল কাস্টমাইজ করুন। এভাবে আপনি নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৪. নিজের দক্ষতা কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করুন।

আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তবে তা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এইভাবে প্রয়োজনের সময় আপনাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। উদাহরণস্বরূপঃএকটি কোম্পানির একটি কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন,আপনার একজন পরিচিত এই কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি আপনার লেখার দক্ষতা জানেন। এই ক্ষেত্রে, তিনি কন্টেন্ট রাইটার পদের জন্য আপনার কথা মাথায় রাখবেন।

৫. ইতিবাচক মনোভাব দেখান।

সবাই ইতিবাচক মনোভাবের মানুষকে পছন্দ করে। তাই কারো সাথে কথা বলার সময় হতাশা বা নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা এড়িয়ে চলুন। বরং ইতিবাচক বিষয়ের দিকে জোর দিন। এটি করার মাধ্যমে, আপনি পরোক্ষভাবে তাকে উদ্যমী হতে উত্সাহিত করেন।

৬. কথা শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

লোকটি কার সাথে কথা বলছে সেদিকে মনোযোগ দিন। হয়তো তিনি এমন কিছু জানেন যা আপনার কাজে লাগবে। তাই তাকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।

৭. নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং পরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি হয়তো একটি অফিস ছেড়ে একটি নতুন অফিসে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন অফিসমেটদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এটি অবশ্যই আপনার নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী রাখবে।

৮. আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

কথোপকথন বা সম্পর্ক শুধুমাত্র কর্মজীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে সম্পর্কের গভীরতার অভাব হয়। তাই জীবনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলুন। দেখবেন সম্পর্কটা আরও আন্তরিক হয়ে উঠবে। যাইহোক, যদি অন্য কেউ ব্যক্তিগত কিছু সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ না করেন তবে এটি এড়িয়ে চলুন।

৯. নেটওয়ার্কিংকে অভ্যাসে পরিণত করুন।

প্রতি সপ্তাহে বা মাসে অন্তত দুজন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। এটি আপনাকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ দেয়।

একটা কথা মনে রাখবেন। নেটওয়ার্ক করার সর্বোত্তম সময় হল যখন আপনার কোন কাজে কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই। এতে করে আপনার আন্তরিকতায় কোন সন্দেহ থাকবে না।


আরো পড়ুনঃ

কীভাবে সেলসের দক্ষতা বাড়াবেন?

কিভাবে কর্মজীবনের কর্ম পরিকল্পনা করবেন?

কীভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করবেন?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *