আজকের আর্টিকেলে আপনি ফেসবুকে কীভাবে ব্যবসা করবেন এবং কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন তার সম্পূর্ণ গাইডলাইন পাবেন। কোন কিছু শুরু করার আগে পরিকল্পনা করা অনেক জরুরি । অনুরূপ ভাবে ফেসবুকে ব্যবসা করা জন্যও দরকার সঠিক পরিকল্পনা । তো চলুন জেনে নেই ফেসবুকে ব্যবসা করার গাইডলাইনগুলো কি কি:
ফেসবুকে ব্যবসা করার কমপ্লিট গাইডলাইন
প্রথমেই আপনার একটি ফেসবুক পেজের দরকার পড়বে । আপনার বিজনেস পেজটি যাতে আপনার গ্রাহকরা সহজেই খুঁজে পায় এবং আপনি যতবার পোস্ট করেন ততবার আপনার পেজের ফলোয়ারদের কাছে পোস্ট চলে যায় ।এই জন্য আপনার পেজটি ফেসবুকের গাইডলাইন অনুযায়ী ডিজাইন করা উচিত।
পেজে রেগুলার এক্টিভিটির পাশাপাশি একটি গ্রুপ তৈরি করুন এবং আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে আপনার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করুন। আরো কিছু টেকনিক নিজে তৈরি করার চেষ্টা করুন ।এইভাবে আপনি আপনার ব্যবসা সম্পূর্ণ ফ্রীতে মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সহজেই আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারেন।
এডভার্টাইজিং
এখন আপনার পেজে ক্যাম্পেইন চালান। আপনি চাইলে নিজেই করতে পারেন। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট দিয়ে ক্যাম্পেইন চালান তবে তা অনেক ভাল হবে । কারণ এখানে বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ আপনি যদি আপনার ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাম্পেইন চালান, তাহলে আপনি অনেক কম খরচে অনেক বেশি রিচ করাতে পারবেন । তাছাড়া অডিয়েন্স ইনসাইটস এর মাধ্যমে একেবারে স্পেসিফিক কাস্টমারের কাছে আপনার এড রিচ করাতে পারবেন, যার ফলো আপনি অনেক বেশি সেল পাবেন ।
কিছু কাজ নিজেকেই করতে হবে। আপনার প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমারদের কিভাবে আরো বেশি আকৃষ্ট করা যায়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
নিরাপত্তা
আপনার বিজনেস পেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে একটি। বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার সাইটের অ্যাডমিন অ্যাক্সেস কাউকে দিতে হবে। কিন্তু তখন আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার বিজনেস অ্যাকাউন্টের অধীনে আপনার পেজ রাখুন। তাহলে আপনার সাইট আর কখনো হ্যাক হবে না।
লাইসেন্স
বিভিন্ন কারণে আপনার কোম্পানির একটি ট্রেডারি লাইসেন্স প্রয়োজন। এমনকি একটি ফেসবুক পেজে আপনি ট্রেডারি লাইসেন্স ছাড়া অনেক কিছু করতে পারবেন না। তাই ব্যবসা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ট্রেডারি লাইসেন্স করে নিন ।
বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং
আপনি কি জানেন? ইনস্টাগ্রামে কতগুলি পণ্য বিক্রি হয়? প্রতিটি সামাজিক প্ল্যাটফর্মে আপনার অনলাইন উপস্থিতি প্রসারিত করুন । আপনি যত বেশি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন, তত বেশি আপনার পণ্য বিক্রি হবে এবং ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে।
কাস্টমারদের ইন্টারেস্ট রিসার্চ
আপনার এটি নিয়মিত করা উচিত। কোন পণ্যটি আপনার গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহী এবং কোন পণ্যটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় তার উপর আপনার ফোকাস করা উচিত। গ্রাহক আপনার কাছ থেকে কী চায় তা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে। আপনার এই প্রোডাক্ট যারা নিচ্ছে তাদের এর সাথে রিলেভেন্ট আর কোন প্রোডাক্টের চাহিদা আছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখুন।যদি চাহিদা থাকে সেগুলো আপনার শপে এভেইলেবল করুন । অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা পণ্যটিকে প্যাকেজ হিসেবে নিতে পছন্দ করেন,সেক্ষেত্রে প্যাকেজ এর ব্যাবস্থা রাখা উচিৎ ।
অনটাইম ডেলিভারি
এই জিনিসগুলি আপনার কোম্পানির স্ট্রেন্থ প্রমাণ করে। একটি অর্ডার নিশ্চিত করার পরে, নির্ধারিত সময়ের আগে পণ্যটি আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিন। কখনই গ্রাহকদের ঠকাবেন না। আপনার ব্যবসার প্রতি গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং আরও গ্রাহকদের কাছে আস্থা অর্জন করতে মাঝে মাঝে অফার এবং ইভেন্ট চালান।
আমি আশা করি আপনি আমার আর্টিকেলটি থেকে ফেসবুকে কীভাবে ব্যবসা করতে হয় সে সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন । আপনাকে নিয়মিত ফেসবুকের বিভিন্ন আপডেটের সাথে নিজেকে পরিচিত রাখতে হবে। যারা ফেসবুকে ব্যবসা করছেন তাদের স্ট্র্যাটেজি জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
নগদ নিয়ে এলো ভার্চুয়াল কার্ড নাম্বার