সনাতনী বিতর্কের নিয়মাবলী সম্পর্কে জানুন!

সনাতনী বিতর্কের নিয়মাবলী সম্পর্কে জানুন!

সনাতনী বিতর্কের নিয়ম

সনাতনী বিতর্কে দুটি দল থাকে , একটিকে পক্ষের দল এবং অন্যটিকে বিরোধী দল বলা হয়।

বিতর্কের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিকে মডারেটর বলা হয়।  এই বিতর্কে একটি টপিক নিধারন করে সেটির উপর এক দল পক্ষে আর অন্য একটি দল বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান করে ।এই বিতর্কে দুইজন বিচারক ও একজন মডারেটর থাকেন । তারা ফলাফল নিদ্ধারন করেন এবং মডারেটর বিতর্ক পরিচালনা করেন । প্রত্যেকটি  বক্তা ৫ মিনিট করে সময় পাবেন বক্তব্য প্রদানের জন্য এবং যুক্তিখণ্ডনের জন্য প্রত্যেক দলের দল নেতা ৩ মিনিট করে সময় পাবেন ।

এই বিতর্কের দুটি পর্যায় রয়েছে

১। গঠনমুলক পর্ব

২। যুক্তিখণ্ডন পর্ব

গঠনমূলক পর্যায়: এই পর্বে প্রতিটি বক্তার তাদের বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৫ মিনিট সময় থাকে। বিতর্ক নিম্নলিখিত পর্যায়গুলিতে ধাপে শুরু হয় ।

  1. পক্ষ দল
    • ১ম বক্তা
    • ২য় বক্তা
    • দল নেতা
  1. বিপক্ষ দল
    • ১ম বক্তা
    • ২য় বক্তা
    • দল নেতা

যুক্তিখণ্ডন পর্ব: এই পর্বে উভয় দলের দলনেতাদের বিরোধী দলের যুক্তি খণ্ডন করার জন্য ৩ মিনিট সময় থাকে।

উভয় দলেরই প্রথম বক্তার কাজ হলো বিষয়টি এবং দলের অবস্থান স্পষ্ট করা। পুরো বিতর্কটি কেমন হবে তার একটি মডেল প্রদান করা। তবে প্রতিপক্ষ দলের প্রথম বক্তার আরেকটি কাজ হলো কথা বলার আগে দলের অবস্থানের সীমাবদ্ধতার সমালোচনা করা।

দ্বিতীয় দুই বক্তার কাজ হল তাদের অবস্থান শক্তিশালী করা। তথ্য ও যুক্তি প্রদান করা এবং বিরোধী দলের অবস্থানের অসারতা প্রদর্শন করা।

দুই দলের নেতারা দলে তাদের অবস্থান নিয়ে কথা বলবেন, তবে তারা একটি সারমর্ম দেবেন বলে আশা করা হয়, যা মূলত তাদের মূল কাজ এবং তারা সারমর্মের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করবেন।

 

আরো পড়ুনঃ


বিতর্ক কি? বিতর্ক প্রতিযোগিতার নিয়ম কানুন?

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার শীর্ষ টিপস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *