আপনি কি আপনার জীবনের প্রতিটি দিনের প্রতিটি ঘন্টার প্রতি মিনিটে উৎপাদনশীল হতে চান?
আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য দুর্দান্ত কিছু কৌশল আছে যা বিশ্বব্যাপী সফল লোকেরা ব্যবহার করে থাকেন:
- তাড়াতাড়ি উঠুনঃ
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য আমাদের কাছে আরও বেশি সময় আছে।আমরা সকালে সতেজ এবং আরও এক্টিভ বোধ করি, এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি আর্লি রাইজার না হন তবে আপনার কাজের সেরা সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন। - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি তালিকা লিখুনঃ
আজকের তালিকা দিয়ে দিন শুরু করুন এবং প্রথমে তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিতে কাজ করুন। দিনের শেষের দিকে, আপনি যা করেছেন তা পর্যালোচনা করতে পারেন। এভাবেই আপনি ধাপে ধাপে আরও কার্যকর হয়ে উঠবেন।
- যাতায়াত করার সময়ও কাজে করুনঃ
ভ্রমণের সময় ডাউনটাইম নয়। যাতাযাতের সময়টুকুও কাজে ব্যবহার করুন এবং আপনার দিনের প্রতিটি মিনিটের সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণ করুন। - একটি সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজঃ
মাল্টিটাস্কিং একটি ভাল ধারণা নয়। একবারে সবকিছু করবেন না। একটি জিনিসের উপর ফোকাস করুন, এবং আপনার কাজ শেষ হলে, পরবর্তীতে যান। একটার পর অন্যটা কাজ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি কম ক্লান্ত এবং আরও উৎপাদনশীল হয়ে উঠছেন। - অভ্যাস তৈরি করুনঃ
নির্দিষ্ট কাজের সময় এবং একটি দৈনিক রুটিন আপনার দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে, কারণ আপনি প্রতিদিন সকালে আপনার অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে বাড়তি কোনো সময় হারাবেন না। যেহেতু আপনি ইতিমধ্যে আপনার কর্মপন্থা গ্রহণ করে ফেলেছেন, এখন আপনি জানেন কোথায় শুরু করবেন। একটি অভ্যাস তৈরি করার একমাত্র উপায় হল সেটার প্রতিনিয়ত অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া। আপনার খারাপ অভ্যাসগুলিকে ভালগুলির সাথে পরিবর্তন করুন। - বিভ্রান্ত হবেন নাঃ
যখন দক্ষতার কথা আসে, তখন এটা স্পষ্ট যে আমাদের নিজেদেরকে বিভ্রান্ত হতে দেওয়া উচিত নয়। সমস্ত অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি থেকে বাঁচুন, যার বেশিরভাগই আমাদের নিজেদের মধ্য থেকেই উদ্ভূত হয়। আপনি যখন কর্মস্থলে থাকবেন তখন ইমেল এবং সামাজিক মিডিয়া নোটিফিকেসান বন্ধ করুন এবং আপনার ফোন সাইলেট রাখতে পারেন। - অধ্যবসায়ঃ
আমরা প্রায়শই তীব্র উৎসাহের সাথে একটি নতুন ভিশন/গোল/লক্ষ্য ঠিক করে সেদিকে এগোতে থাকি। কিছুক্ষণ পরে আমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি এবং জিনিসগুলি অসমাপ্ত রেখে যাই। আপনি যখন আবেগপ্রবণভাবে কাজ করেন তখন চিনতে শিখুন এবং কম ঝামেলার সাথে নতুন কাজগুলি মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। আপনি যা শুরু করেছেন তা শেষ করুন। ধৈর্য ধারণ কর! আপনি লক্ষণীয়ভাবে আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দেবেন। - প্রস্তুতিঃ
“আমার কাছে সময় নেই”- কোন কাজ সম্পূর্ণ না করার জন্য সবচেয়ে সাধারণ অজুহাত। এই অজুহাতটিকে “না” বলার প্রয়োজনের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। আমাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য, আমরা যা করতে স্থির করেছি তা করার ইচ্ছাও আমাদের থাকতে হবে। আপনি যদি কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন তবে এটিকে এক ধরণের “স্বেচ্ছাসেবী প্রতিশ্রুতি” হিসাবে বিবেচনা করুন এবং সহজেই নিরাশ করবেন না।
- দরকার না হলে ইমেইল বারবার চেক করবেন নাঃ
ট্রিসকেলিয়ন ভিডিও গেম টাইম ম্যানেজমেন্ট কোর্স যেমন উল্লেখ করেছে, ক্রমাগত আমাদের ইমেল চেক করা একটি খারাপ অভ্যাস যা আমাদের কাজের রুটিন থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত। দিনে দুই বা তিনবার ইমেল চেক করুন। কখনই আপনার ইমেলের দাস হয়ে উঠবেন না।
- আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
মানসিকভাবে সক্রিয় থাকার জন্য ব্যায়াম করুন এবং নিয়মিত প্রয়োজনীয় পানি পান করুন। এটি আপনার মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বাড়াবে এবং আপনাকে আরও উৎপাদনশীল করে তুলবে। সাইকেল চালকরা যে ধরণের পানির বোতল ব্যবহার করেন সেরকম একটি অ্যালুমিনিয়াম বোতল কিনুন । এটি বোতলজাত পানি হিসাবে সবচেয়ে নিরাপদ এবং দামেও সস্তা। দিনে দুই/তিন লিটার পানি পান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
সারাংশ: উৎপাদনশীল হওয়ার জন্য, আমরা যা অর্জন করতে চাই তার সাথে আমাদের ব্যালান্স বজায় রাখতে হবে। কি করতে চেয়েছিলাম আর কি করেছি তা মূল্যায়ন করে নিজের ভুল শুধরে এগিয়ে যেতে হবে।